অক্টোবর ২১, ২০১০


অ্যানথ্রাক্স: আরো কিছু কথা

বর্তমানে অ্যানথ্রাক্স সবার কাছে একটি পরিচিত রোগ। জেলার পর জেলার গবাদিপশু ও মানুষে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার কারণে সরকার রেড এলার্ট জারি করেছিল। সম্প্রতি তা আবার তুলে নেওয়া হয়েছে। এদিকে কোরবানীর ঈদও আসন্ন। দেশের অধিকাংশ মানুষই গরু কোরবানী দিয়ে থাকেন। গত রমজানের ঈদে বাজারের দেখা গেছে ভিন্ন চেহারা। গরুর মাংসের বদলে বিক্রি হয়েছে মুরগি ও খাসির মাংস। তবে সুখবর হল অ্যানথ্রাক্স এখন নিয়ন্ত্রণে। ক্রমশ কমে আসছে গবাদিপশু ও রোগীর সংখ্যা। তারপরও কোরবানী ঈদকে ঘিরে মানুষের আতঙ্কটা রয়েই গেছে।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের কাজের গতি এবং ভ্যাকসিন তৈরির পরিমাণ বৃদ্ধিতে রোগের প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তারপরও যারা গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে আতঙ্কিত তাদের জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখলেই চলবে-

ক. চৎবংংঁৎব ঈড়ড়শবৎ -এ মাংস রান্না করলে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়;

খ. অঁঃড়পষধাব দ্বারা রান্না করা মাংস জীবাণু মুক্ত থাকে;

গ. সিলভারের পাত্রের মুখ ঢাকনী দিয়ে ভালভাবে ঢেকে নিয়ে অধিক সময় পর্যন্ত তাপ দিতে হবে যাতে মাংস নরম বা মোলায়েম হয়। এ ক্ষেত্রেও জীবাণুর কোনো অস্তিত্ব থাকে না।

অ্যানথ্রাক্স পশুর জন্য জীবন হননকারী হলেও তা এখন নিয়ন্ত্রণে, তবে মানুষের জন্য এ রোগ মারাত্মক নয়। আগামী কোরবানীর ঈদে সবাই মাংস খাবেন বিনা সংকোচে এবং নির্ভয়ে। তবে গরুটি হতে হবে ভেটেরিনারি সার্জন কতৃর্ক পরীক্ষিত।

ডাঃ মোঃ ফজলুল হক
সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান
মেডিসিন, সার্জারি এন্ড অবস্টেট্রিক্স বিভাগ
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর

সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক (অক্টোবর ১৭, ২০১০)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন